Rahmatullah Tuhin
”I prefer scripts that deal with emotion and values” — Rahmatullah Tuhin

Rahmatullah Tuhin is a popular television director who has offered the audience a good number of plays over the last decade. Some of his notable directorial works include the 500-episode serial “Khonikaloy”, “Onno Shokal”, “Doito Roop”, “Nagorik Bunophool” and “Bodle Jaoar Somoy”. Recently the director had a chat with The Daily Star on his works and more. Excerpts:

What inspired you to become a director?

Tuhin: I was a member of little theatre and later joined Momtazuddin Ahmed’s troupe Theatre Arambag (now Theatre Bailey Road). I have been an active member of the group for over two decades. Going on, I developed a passion for direction. I jumped into television drama in the 1990s.

What genre of scripts do you prefer and how do you work on it?

Tuhin: I prefer realistic scripts that deal with love, emotion, social and familial values which audience can easily relate to. After selecting the script, I contact artistes and start working on it. In the case of drama serials, I try to keep at least 30 episodes in reserve before the due date of airing.

Tell us about the financial aspects of production.

Tuhin: For drama serials, I receive episode-wise payment and for single-episode plays, producers give me remuneration. Sometimes producers offer me a package for the entire drama and I have to make the drama within that given budget. In that case I have to think about profit and loss.

What’s the major difference between stage and television direction?

Tuhin: Before coming on stage one has to go through long rehearsals, whereas in television there’s little or no rehearsal. While directing, I visualise a character and brief the artiste about it. I rehearse with the artistes before taking a shot since they don’t rehearse nowadays. Sorry to say, many of them don’t even read the script before coming to the shooting spot.

What’s your observation on young artistes?

Tuhin: Unlike artistes in the 1990s, newcomers are not whole-heartedly involved in acting. There’s a lack of commitment and nowadays many seek success and reputation without working hard. And for this reason many soon disappear from the scene.

Tell us about your upcoming ventures.

Tuhin: I am currently doing “Khonikaloy” which has crossed 500 episodes. I have plans to make a comedy drama and one or two plays on the Liberation War. I also have plans to shoot outside Bangladesh.

News Source : thedailystar

Dialogue-based dramas are now missing: Tuhin

Rahmatullah Tuhin is a popular television director who has made a lot of good works in the showbiz industry over the last decade. Some of his prominent works are– 500-episode drama serial ‘Khonikaloy’, ‘Onno Shokal’, ‘Doito Roop’, ‘New York Theke Bolchi’, ‘Nagorik Bunophool’ and ‘Bodle Jaoar Somoy’.

In the meantime, Rahmatullah has concluded shooting of his new short film titled ‘The Brand New Friendship’ at the various locations of Australia. He has recently been awarded for the film The Brand New Friendship by Pitch Film Festival at Public Library in Dhaka. He got the Standard Award for making the short film.
Talking about the matter Rahmatullah Tuhin said, “I always prefer to work with the scripts that deal with emotion, social and family values which audience can easily connect to. But, now a-days we are facing crisis of good scripts. ‘The Brand New Friendship’ contains with dialogue that has social values.”

“I have awarded several times for dramas. This is the first time; I got award for a film. Reward always encouraged me to do better for next”, he added.

On the other hand, Rahmatullah has completed shooting for a tele-film titled ‘One and Only’. Popular actor Ziaul Faruq Apurba and Australian actor Lara Jassinta are the main casts of this tele-film. The tele fiction will be aired on a satellite channel on the occasion of Eid-ul-Azha. He has also made another short film named ‘Alokborsho Dure’, features Wahida Mollick Jolly and Salman Arif.

News Source: daily-sun

দীপ্ত টিভিতে ‘বিনোদন বিস্ফোরণ’

দুটি ধারাবাহিক নাটক ও ‘সুলতান সুলেমান: কোসেম’র নতুন সিজন নিয়ে দীপ্ত টিভিতে শুরু হচ্ছে ‘বিনোদন বিস্ফোরণ’। ধারাবাহিক দুটি হলো রহমতুল্লাহ তুহিনের ‘নিউইয়র্ক থেকে বলছি’ ও রাজু খানের ‘মধ্যবর্তিনী’। ‘নিউইয়র্ক থেকে বলছি’ ধারাবাহিকটি শুরু হবে আগামীকাল থেকে। প্রচার হবে শনি-বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট ও রাত ৯টা ৩০ মিনিটে। এটিতে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, শহীদুজ্জামান সেলিম, টনি ডায়েস, ইন্তেখাব দিনার, হিল্লোল, সাবেরি আলম, তারিন, রিচি সোলায়মান, ঈশানা ও জেনিসহ অনেকে।
‘মধ্যবর্তিনী’ শুরু হবে ১৪ই জুলাই। প্রচার শনি-বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায়। এটিতে অভিনয় করেছেন সোহানা সাবা, আনিসুর রহমান মিলন, শারমিন আঁখি, শতাব্দি ওয়াদুদ, ডলি জহুর ও কল্যাণ কোরাইয়া। আসছে ২১শে জুলাই থেকে প্রতি শনি-বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ৩০ মিনিট ও রাত ১০টা ৩০ মিনিটে প্রচার শুরু হবে ‘সুলতান সুলেমান: কোসেম’-এর নতুন সিজন। দুই ধারাবাহিক ও ‘সুলতান সুলেমান: কোসেম’-এর নতুন সিজন প্রচার উপলক্ষে গতকাল দীপ্ত টিভি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দীপ্ত টিভির সিইও কাজী উরফী আহমদ, অনুষ্ঠান প্রধান ফুয়াদ চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

news source: manovzamin

রহমতুল্লাহ তুহিনের ‘যখন কখনো’র সেটে কিছুক্ষণ

‘ওই পরিবারের অনেক ধরনের রক্ষণশীলতা রয়েছে। তারা তাদের মেয়েদের বড় করার জন্য এবং একটি বাড়ি টিকিয়ে রাখার জন্য টেনশন করে। মেয়ের শিক্ষক হিসেবে কাকে রাখবে এবং সিকিউরিটি কতটুকু- গল্পের ভেতর দিয়ে এই মেসেজগুলো দেওয়া হয়েছে।

শিবলী আহমেদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:০৯ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৩২


নাট্য পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম
(প্রিয়.কম) দীর্ঘ গল্পের ধারাবাহিক নাটক যখন কখনো। নাটকটি এনটিভি-তে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে প্রচার শুরু হয়। প্রতি শনি ও রোববার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হয় নাটকটি। সোহান খানের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করছেন রহমতুল্লাহ তুহিন

শীতকালীন শুটিংয়ের হালচাল পর্যবেক্ষণ করতে প্রিয়.কম ঢুঁ দিয়েছিল উত্তরার কিছু শুটিং বাড়িতে। সেখানকার ক্ষণিকালয় নামের শুটিং বাড়িতে সাক্ষাৎ মেলে পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিনের। ধারাবাহিক নাটক যখন কখনো প্রসঙ্গে প্রিয়.কম-এর আলাপচারিতা হয় এই পরিচালকের সঙ্গে।

নাটকটি পরিচালনা করে নিজের সন্তুষ্টি প্রসঙ্গে রহমতুল্লাহ তুহিন প্রিয়.কম-কে বলেন, আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এখানে ফেরদৌসি মজুমদার অভিনয় করছেন। তিনি আমাদের দেশের একজন কিংবদন্তী অভিনয় শিল্পী। আমি অনেক ভাগ্যবান যে তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন। আমি আরও ভাগ্যবান যে অভিনেতা আবুল হায়াত এবং দিলারা জামান আছেন আমাদের সঙ্গে। এছাড়াও আছেন আফরোজা বানু, মারজুক রাসেল, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, রিচি সোলায়মান, রওনক হাসান, মম, প্রভা, মৌসুমী হামিদ, প্রসূন আজাদ, সামিয়া, মনজ ও কল্যাণ কোরাইয়া। বিভিন্ন জেনারেশনের শিল্পীরা একসঙ্গে কাজ করছেন এ নাটকে। এটা সবচেয়ে বড় ব্যাপার।’

নাট্য পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম নাট্য পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম 

‘যখন কখনো’ নাটকটি নির্মিত হচ্ছে রিচি সোলায়মানের নীলাঞ্জনা প্রোডাকশন থেকে। এ গল্পে কোনো মেসেজ আছে কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরে নাটকটির পরিচালক তুহিন বলেন, ‘মূলত গল্পটি হচ্ছে দুটি পরিবার ও একটি অফিসের গল্প। এখানে একটি রহস্যজনক বিষয় রয়েছে। প্রভা একটি ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করছে, এক ধরনের ভৌতিক চরিত্র। এছাড়াও এক ধরনের হাস্যরস আছে এ নাটকের গল্পে। এর মধ্যে অনেক সিরিয়াসনেসও আছে। আমার মনে হয়, কেউ যদি পুরো সিরিয়ালটি নিয়মিত দেখেন, তাহলে দর্শক এটিকে শেষ পর্যন্ত দেখার আগ্রহ পাবেন। কেননা এ নাটকের গল্পের মধ্যে হাসি আছে, আনন্দ আছে, কান্না আছে- সব ধরনের উপাদানই আছে।’

‘সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি গল্পটি সুন্দর। আমি চেষ্টা করছি বানাতে। আর মেসেজের কথা যদি বলেন, তাহলে বলব- যেকোনো গল্পেরই একটি মেসেজ রয়েছে। এ নাটকেও মেসেজ রয়েছে এবং সেটি পজেটিভ। পরিবার কী, একজনের সঙ্গে আরেকজনের সম্পর্ক কতটুকু, পরিবারিক কিছু সিদ্ধান্ত, ছেলে-মেয়েদের ভুল-ত্রুটি, এ সব উঠে এসেছে নাটকটিতে। এটি এক ধরনের মেসেজ’, বলেন রহমতুল্লাহ তুহিন।

পরিচালকের ভাষ্য, ‘আবার আমরা দেখিয়েছি- একটি পরিবারে দুটি মেয়ে আছে, তারা ঢাকাইয়া পরিবার, একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবার। ওই পরিবারের অনেক ধরনের রক্ষণশীলতা রয়েছে। তারা তাদের মেয়েদের বড় করার জন্য এবং একটি বাড়ি টিকিয়ে রাখার জন্য টেনশন করে। মেয়ের শিক্ষক হিসেবে কাকে রাখবে এবং সিকিউরিটি কতটুকু- গল্পের ভেতর দিয়ে এই মেসেজগুলো দেওয়া হয়েছে।

news source: priyo.com

দিনের আলোয় রাতের শুটিং…
কুদরত উল্লাহ
সহ-সম্পাদক, বিনোদন
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:১০ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০৪:৪৮


নির্মাতার সঙ্গে একই ফ্রেমে চার তারকা। ছবি: আবু সুফিয়ান জুয়েল, প্রিয়.কম।
(প্রিয়.কম) ঘড়ির কাঁটায় ঠিক দুপুর ১২টা। উত্তরার শুটিং বাড়ি লাবনী-৪। ভেতরে যাবার সময়ই চোখে পড়ল চেয়ারে বসে আছেন অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার। এর মধ্যেই কালো কাপড় দিয়ে ঘেরা নিচতলার একটি রুম থেকে বের হয়ে আসলেন নির্মাতা রহমতুল্লাহ তুহিন। তার সঙ্গেও কথা হলো। এরই মধ্যে তার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম…বাইরে থেকে সব কিছু ঢেকে রাখা হয়েছে। বিষয়টা কি? উত্তরে নির্মাতা জানালেন, ‘অফিসের দৃশ্য চলছে ধারাবাহিক নাটকটির। নাম ‘যখন কখনো’, রচনা করেছেন সোহান খান। চলেন না রুমের ভেতরে যাই। যেতে যেতেই আবারও প্রশ্ন- তাহলে কি রাতের দৃৃশ্য ধারণ করা হচ্ছে? নিমার্তা জানালেন, ‘অনেকটা সে রকমই। অফিসের দৃশ্য তো, তাই বাইরের দিনের আলো কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। চলেন রুমের মধ্যে’। আমরাও প্রবেশ করলাম।রুমের মধ্যে গিয়ে বুঝতে পারলাম সত্যিই এখানে রাতের দৃশ্যের শুটিং করা হচ্ছে। এ তো দেখি আলো-ছায়ার খেলা। পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন বসে গেলেন মনিটরের সামনে। সেটে আসলেন অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ, লাক্স তারকা নিশা এবং অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার। এখন শুরু হবে দৃশ্য ধারণ। পরিচালক অভিনয় শিল্পীদের কিছুক্ষণ দৃশ্যটি বুঝিয়ে দিয়ে চিরাচরিত ভাষায় বললেন ‘অ্যাকশন’।

শুরু হয়ে গেল দৃশ্য ধারণ। অফিসের রিসিপশনে বসে আছেন নিশা। ওদিকে, ইন্তেখাব দিনার আর প্রসূন আজাদের মধ্যে কথা চলছে। দেখে মনে হচ্ছে দুজন দুজনের উপর ক্ষেপে আছেন। কথার এক পর্যায়ে রেগে গিয়ে প্রসূন তার ডেস্কে গিয়ে বসলেন। সে রাগ অব্যাহত রেখেই তিনি একটি ছবির অ্যালবাম উলট পালট করতে লাগলেন। অন্যদিকে, নিশা রিসিপশনে বসে একটু মুচকি হাসি দিচ্ছেন। মনে হলো তিনি বেশ মজাই পাচ্ছেন। নির্মাতা বললেন, ‘কাট! হইছে।’ এবার ক্লোজ দৃশ্য নেওয়া শুরু হলো। ওই একই দৃশ্য কতবার যে নিতে হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে দৃশ্য ধারণ করার পর নির্মাতা লাঞ্চ ব্রেক দিয়ে দিলেন।

নাটকের অন্যতম প্রধান চরিত্র প্রসূন প্রায় এক বছর পর অভিনয়ে ফিরলেন। তার সঙ্গে কথা হলো মেকআপ রুমে। অন্যদিকে নিশা তার আজকের দৃশ্য শেষ করে ফেলেছেন। তাই তিনি আর থাকছেন না। চলে যাবেন বাসায়। ইতোমধ্যে বিদায় নিয়ে চলেও গেলেন তিনি। নিমার্তা আমাদের উপরে ডাকলেন দুপুরে খাওয়ার জন্য। আমরাও তার সঙ্গী হলাম। নির্মাতার কাছে জানতে চাইলাম নাটকের গল্পটা কেমন? তিনি বললেন, গল্পটা হচ্ছে দুটা পরিবারকে কেন্দ্র করে। বলতে গেলে একটি পারিবারিক গল্প। এখানে প্রেম আছে, সংসার আছে, অফিস আছে। মানে আমাদের জীবনের প্রতিদিনের ঘটনাটাগুলোই এই গল্পে তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম লটের দৃশ্য শেষ। এখন চলছে দ্বিতীয় লটের দৃশ্যধারণ। মোট কথা সব জেনারেশন নিয়েই ধারাবাহিক নাটকটি এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই এনটিভিতে নাটকটি প্রচার শুরু হয়েছে। প্রতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে নাটকটি প্রচারিত হচ্ছে।

এ নাটকে আরও অভিনয় করছেন- ফেরদৌসি মজুমদার, আজাদ আবুল কালাম, আবুল হায়াত, দিলারা জামান, আফরোজা বানু, জাকিয়া বারি মম, রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, মারজুক রাসেল, মনজ, সামিহাসহ আরও অনেকেই।

এসব তথ্য দিয়ে নির্মাতা আবারও তার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আর আমাদের এবার বিদায় নেওয়ার পালা। সবার সঙ্গে বিদায় নেওয়া শেষ হলেও খুঁজে পাচ্ছিলাম না আমাদের অভিনেতা আজাদ আবুল কালামকে। পরিশেষে তাকে খুঁজে পেলাম মেকআপ রুমে। তিনি ভাত ঘুমে আছেন। তার ঘুম না ভাঙিয়েই হেমন্তের মৃদু মৃদু বাতাস গায়ে মাখতে মাখতে পড়ন্ত বিকেলে বের হলাম শুটিং বাড়ি লাবনী-৪ থেকে।

news source: pryo.com

তিন প্রজন্মের শিল্পী নিয়ে ‘যখন কখনো’

“খুব চিন্তিত গলায় সীমিন বলল, ‘খালামনি তোমার শরীর কি খুব খারাপ করেছে?’

খালামনি উত্তর দিল, ‘হ্যাঁ, প্রেশারটা মনে হয় বেড়ে গেছে। রাতিনের সাথে কোনো যোগাযোগ হয়েছে?’

সীমিন বলল, ‘না, আমি একবার ওকে ফোন দিয়েছি। ও ফোন ধরেনি।’

সোহান খানের রচনায়, রহমতুল্লাহ্ তুহিন পরিচালিত ‘যখন কখনো’ ধারাবাহিক নাটকের দৃশ্যের সংলাপ এভাবেই ক্যামেরার সামনে বলে যাচ্ছিলেন মৌসুমি হামিদ ও বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার। নাটকে সীমিন চরিত্রে অভিনয় করছেন মৌসুমি হামিদ।

ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, ‘আমি খুব বেছে বেছে কাজ করি। তুহিনের সঙ্গে এর আগেও কাজ করেছি। এই কাজটি করেও অনেক ভালো লাগছে।’

ফেরদৌসী মজুমদারের সঙ্গে নাটকে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে মৌসুমি হামিদ বলেন, “ফেরদৌসী আন্টির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। তুহিন ভাই যখন বলেছেন ফেরদৌসী মজুমদার কাজ করবেন- প্রথমে তো বিশ্বাস করতে পারিনি। সেটে তিনি নিজের মেয়ের মতো আদর করছেন আমাকে। নাটকের গল্পে ফেরদৌসী আন্টি আমার মায়ের বান্ধবী চরিত্রে অভিনয় করছেন। আমার মা মারা যাওয়ার পর আমি ফেরদৌসী আন্টির বাসায় থাকি। খুব চমৎকার একটা গল্প। সিরিয়াল নাটকে খুব কম অভিনয় করছি আমি। ‘সাতটি তারার তিমির’ সবাই যেভাবে গ্রহণ করেছে, আশা করছি এই নাটকটিও প্রচার শুরু হলে সবার অনেক ভালো লাগবে।”

‘যখন কখনো’ নাটকে অনেক প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীরা কাজ করছেন। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পরিচালক রহমতুল্লাহ্ তুহিন বলেন, “আমি ‘ক্ষণিকালয়’ নাটক ৫২০ পর্ব পযর্ন্ত করেছিলাম। সাড়ে তিন বছর আমি নাটকটির শুটিং করেছি। সেখানে ফেরদৌসী আন্টি একটানা কাজ করেছিলেন। তাঁর সম্পর্কে বলার কিছু নেই। তিনি অসাধারণ। আমি অনেক ভাগ্যবান পরিচালক, কারণ তাঁর সঙ্গে বহুদিন ধরে কাজ করছি। ‘ক্ষণিকালয়’ নাটকে আমি পাঁচ প্রজন্মকে দেখিয়েছি। এই নাটকেও তেমনি আমি তিন প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে কাজ করছি। নাটকে ইন্তেখাব দিনার, রওনক হাসান, মমও কাজ করছেন। মৌসুমিকে সীমিনের চরিত্রে নেব- এটা প্রথমে ভাবিনি। সীমিন অনেক চটপটে আর মৌসুমিও বাস্তবে অনেক চটপটে। সবমিলিয়ে এই চরিত্রের জন্য ও মানানসই।”

নাটকের গল্প কীভাবে নির্বাচন করেন জিজ্ঞেস করতেই তুহিন বলেন, ‘আমি সবসময় নাটকের গল্প ও সংলাপ দেখি। সাহিত্যনির্ভর সবকিছু খুঁজি। কারণ গেলাম, খাইলাম, আসলাম, এ ধরনের সংলাপ আমার পছন্দ না।’

অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান ‘যখন কখনো’ ধারাবাহিক নাটকটি প্রযোজনা করছেন বলে জানান পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন।

news sources: NTV