প্রায় ৩০ বছর ধরে রহমতুল্লাহ্ তুহিন অনেক জনপ্রিয় নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টারি নির্মাণ করে আসছেন। শুরুটা ‘ঢাকা লিটল থিয়েটার’-এ অভিনয়চর্চার মধ্য দিয়ে হলেও সহকারী পরিচালকের পর একসময় নিজেকে দক্ষ নির্মাতা হিসেবে পরিচিত করেছেন তিনি। নির্মাণ করেছেন ৫২০ পর্বের ‘ক্ষণিকালয়’।
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, ফেরদৌসী মজুমদারসহ দেশের অনেক গুণী অভিনয়শিল্পী তাঁর নির্মাণের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কাহিনিচিত্র ‘অহল্যা’র জন্য তিনি অর্জন করেন আরটিভি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের সম্মাননা। ২০২০ সালে ‘ওয়ান অ্যান্ড অনলি’র জন্য পান শ্রেষ্ঠ পরিচালকের নমিনেশন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দেশ-বিদেশে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার, হয়েছেন বিচারক ও ভূষিত হয়েছেন নানা সম্মাননায়। বানিয়েছেন ‘কক্ষ নম্বর বাহান্ন’ ও শর্টফিল্ম ‘ব্র্যান্ড নিউ ফ্রেন্ডশিপ’। অভিনয় করেছেন মঞ্চনাটক ‘সাতঘাটের কানাকড়ি’, ‘রূপবানে’। তিনি একজন ভালো থিয়েটার প্রশিক্ষকও।
প্রতি ঈদেই বিভিন্ন চ্যানেলে প্রায় সাতশ’র মত নাটক প্রচারিত হয়। কিন্তু গেল ঈদে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রায় আড়াই’শরও বেশি নাটক প্রচারিত হয়েছে।
বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত এবার ঈদের নাটকের মধ্যে টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) তে সেরা নাটকের তালিকায় প্রথম স্হানে রয়েছে রহমতুল্লাহ্ তুহিন পরিচালিত ‘ওয়ান অ্যান্ড অনলি’ নাটকটি। এই নাটকটি এবার ঈদের দিন নাটকটি আরটিভিতে প্রচার হয়েছিল।
টিভিআর রেটিং ১.১২ এবং জিপিআর ৩০.২৪ নিয়ে টিআরপিতে প্রথম অবস্হানে আছে নাটকটি।
এ বিষয়ে নির্মাতা রহমতুল্লাহ্ তুহিন বলেন, এবার ঈদে টেলিভিশনে দেখা সর্বোচ্চ জনপ্রিয় নাটক এটি। দর্শকরা এত বেশি পছন্দ করেছেন এর জন্য সবার প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও ভালোবাসা। এভাবেই ভালোবেসে বাংলা নাটকের পাশে থাকবেন।
সৈয়দ জিয়া উদ্দিন জিয়ার রচনায় এই নাটকে প্রথমবারের মত জুটি বেঁধে অভিনয় করেন জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও জাসিনতা স্কোয়ারেস ( অস্ট্রেলিয়া)। এতে আরও অভিনয় করেছেন সোফি ব্রাওয়ার্র মরিসন (অস্ট্রেলিয়া), সালমান আরিফ, সেঁজুতি ইসলাম, নন্দ চক্রবর্তী ছোটন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট সংক্ষেপে টিআরপি কোনো চ্যানেল বা অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা নির্দেশ করে। ইলেক্ট্রনিক রেটিং এজেন্সি মনিটরিংয়ে মাধ্যমে কোন চ্যানেল বা কোন অনুষ্ঠান দর্শক বেশি দেখছে সে তথ্য বের করে। সে সমীক্ষা থেকেই এ রেটিং প্রকাশ করা হয়।
চতুর্থ সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবে ২টি পুরস্কার অর্জনের পর ১৪তম আর্ন্তজাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১ এ প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে রহমতুল্লাহ্ তুহিন এর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আলোক বর্ষ দুরে’ । শনিবার বিকালে শাহবাগের কেন্দ্রীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার চত্বরে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজিত ১৪তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ ২০২১ এর উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এবারের আর্ন্তজাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে ৩৭টি দেশের ১৭৯টি চলচ্চিত্র অংশগ্রহন করছে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩টি ভেন্যুতে চলবে এ উৎসব। ২রা ফেব্রুয়ারী শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে রহমতুল্লাহ্ তুহিন ‘আলোক বর্ষ দুরে’ স্বল্পদৈর্ঘ্যটি।
একজন মা এবং প্রবাসে পড়ুয়া সন্তানের গল্প নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি। এ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য ৪র্থ সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব ২০২০ সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কার অর্জন করেন এ অভিনেত্রী। ওয়াহিদা মল্লিক জলি বলেন “রহমতুল্লাহ্ তুহিন একজন অত্যন্ত গুনি নির্মাতা। তার পরিচালনায় অভিনয় করতে আমি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। এই পুরস্কার এর সে ও একজন ভাগিদার।’
‘আলোক বর্ষ দুরে’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮তম ঢাকা আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবং এই চলচ্চিত্রটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯ এ অংশগ্রহন করে। নির্মাতা রহমতুল্লাহ্ তুহিন ১৩তম আর্ন্তজাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দি ব্যান্ড নিউ ফ্রেন্ডশিপ’ নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রটি পিস ফিল্ম ফ্যাস্টিভাল ২০১৯ এ ষ্ট্যান্ডার্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে এবং রাশিয়ার “জিরো প্লাস” আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।
রহমতুল্লাহ্ তুহিন ২ যুগের অধিক সময় ধরে দেশীয় চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন মিডিয়ায় প্রসংসার সাথে অনেক জনপ্রিয় নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ডকুমেনটারী নির্মান করে আসছেন। এই নির্মাতার ৫২০ পর্বের দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক ক্ষনিকালয় মাছরাঙ্গা টেলিভিশন এর একটি অন্যতম প্রশংসীত নাটক। মাছরাঙ্গা টেলিভিশন এর প্রোগ্রাম ইনচার্জ জনাব আরিফ রহমান বলেন ‘রহমতুল্লাহ্ তুহিন অত্যন্ত জনপ্রিয় নির্মাতা, তার নির্মিত নাটক ক্ষনিকালয় একটি ব্যবসা সফল এবং দর্শক নন্দিত নাটক। প্রায় ৪বছর ব্যাপি প্রচারিত এই নাটক অনেকবার টি আর পি র শীর্ষে অবস্থান করে নিয়েছে।’
অত্যন্ত দক্ষ পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন, প্রযোজকদের কাছেও সমান জনপ্রিয়। প্রযোজক খোরশেদ আলম বলেন ‘রহমতুল্লাহ্ তুহিন সবসময়ই প্রযোজকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই কাজ করেন। তার পরিচালিত বেশিরভাগ প্রযোজনাই ব্যবসা সফল হয় যে কারনে প্রযোজকরা সবসময়ই তাকে দিয়ে নির্মান করাতে আগ্রহী।’
চতুর্থ সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবে দুটি পুরস্কার অর্জনের পর ১৪তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব-২০২১-এ প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে রহমতুল্লাহ তুহিনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আলোকবর্ষ দূরে’। শনিবার বিকালে শাহবাগের কেন্দ্রীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার চত্বরে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজিত ১৪তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ ২০২১-এর উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এবারের আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে ৩৭ দেশের ১৭৯টি চলচ্চিত্র অংশগ্রহণ করছে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনটি ভেন্যুতে চলবে এ উৎসব।
আজ শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে রহমতুল্লাহ তুহিনের ‘আলোকবর্ষ দূরে’ স্বল্পদৈর্ঘ্যটি। একজন মা এবং প্রবাসে পড়ুয়া সন্তানের গল্প নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওয়াহিদা মল্লিক জলি। এ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য চতুর্থ সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব-২০২০ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন এ অভিনেত্রী। ওয়াহিদা মল্লিক জলি বলেন, রহমতুল্লাহ তুহিন একজন অত্যন্ত গুণী নির্মাতা। তার পরিচালনায় অভিনয় করতে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এই পুরস্কারের সেও একজন ভাগিদার। ‘আলোকবর্ষ দূরে’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবং এই চলচ্চিত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯-এ অংশগ্রহণ করে।
নির্মাতা রহমতুল্লাহ্ তুহিন ১৩তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দি ব্যান্ড নিউ ফ্রেন্ডশিপ’ নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ চলচ্চিত্রটি পিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০১৯-এ স্ট্যান্ডার্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে এবং রাশিয়ার ‘জিরো প্লাস’ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।
অর্ধ শতাধিকেরও বেশি নাটক নির্মাণ করেছেন পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন। সমসাময়িক তার হাতে তৈরি হয়েছে চারটি ধারাবাহিক নাটক। দেশের চৌহদ্দি পেরিয়ে সে নাটক দেখছে প্রবাসী বাঙালিরাও।
সোহান খানের রচনায় ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেছেন রহমতুল্লাহ তুহিন। নাটকটি প্রতি শনি ও রবিবার রাত আটটা ২০ মিনিটে প্রচারিত হচ্ছে এনটিভিতে। এতে অভিনয় করেছেন, ফেরদৌসি মজুমদার, আবুল হায়াত, দিলারা জামান আফরোজা বানু, আজাদ আবুল কালাম, জাকিয়া বারী মম, প্রভা, ইন্তেখাব দিনার, রওনক, প্রসূন আজাদ, সামিয়া সাঈদ, মারজুক রাসেল, মনোজ, কল্যাণ কোরাইয়া, রিচি সোলায়মান, প্রসূন আজাদসহ আরও অনেকে।
রিচি সোলায়মানের নীলাঞ্জনা প্রোডাকশন থেকে নাটকটি নির্মিত হচ্ছে। নাটকের গল্পে কোনো মেসেজ আছে কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরে নাটকের পরিচালক তুহিন বলেন, ‘মূলত গল্পটি হচ্ছে দুটি পরিবার ও একটি অফিসের গল্প। এখানে একটি রহস্যজনক বিষয় রয়েছে। প্রভা একটি ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করছে। এক ধরনের ভৌতিক চরিত্র। এ ছাড়াও এক ধরনের হাস্যরস আছে এ নাটকের গল্পে। এর মধ্যে অনেক সিরিয়াসনেসও আছে। আমার মনে হয়, কেউ যদি পুরো সিরিয়ালটি নিয়মিত দেখেন, তাহলে দর্শক এটিকে শেষ পর্যন্ত দেখার আগ্রহ পাবেন। কেননা এ নাটকের গল্পের মধ্যে হাসি আছে, আনন্দ আছে, কান্না আছে- সব ধরনের উপাদানই আছে।’
নাটক: টক অফ দ্য টাউন
১২০ পর্বের ধারাবাহিক নাটক এটি। চ্যানেল ফোর ইউএস নামে একটি আমেরিকান চ্যানেলে অনএয়ার হচ্ছে নাটকটি। ওই চ্যানেলে সপ্তাহের প্রতিদিনই দেখানো হয় নাটকটি। নিউ ইয়র্ক সময় রাত আটটায় দেখানো হয় এটি। এই নাটকের অর্ধেকেরও বেশি পর্ব অনএয়ার হয়ে গেছে। ২০১৬ সালে শেষ হয় নাটটির শুটিং। নাটকটি লিখেছেন শান্তনু। এতে অভিনয় করেছেন আল মনসুর, ডাক্তার এনাম, আফরোজা বানু, রিচি সোলায়মান, মৌসুমী নাগ, ইন্তেখাব দিনার, মীর সাব্বির, অপু, নাবিলা, প্রভা, অপর্ণা, নাঈম, ডাক্তার এজাজ, মারজুক রাসেল, বড়দা মিঠু প্রমুখ।
নাটকের গল্প সম্পর্কে রহমতুল্লাহ তুহিন বলেন, ‘এটি পাঁচ বোনের একটি গল্প। গল্পটি মহল্লা কেন্দ্রিক। আফরোজা বানু মা চরিত্রে এবং ডাক্তার এনাম বাবা চরিত্রে অভিনয় করছেন। আল মনসুর এই এলাকার চেয়ারম্যান থাকে আরকি। কোনো একটা কারণে তার সঙ্গে ডাক্তার এনামের এক ধরনের বিতণ্ডা হয়। তার বাড়িতে তার বড় ভাইয়ের ছেলে মীর সাব্বির থাকে। এবং তার পাঁচ মেয়ে। বড় মেয়ে রিচি সোলায়মান। নাটকটি কিছুটা কমেডি ঘরানার।’
নাটক: নিউ ইয়র্ক থেকে বলছি
১০৮ পর্বের এ নাটকের ৬০ শতাংশই চিত্রায়িত হয়েছে আমেরিকায়। বাকি শুটিং হয়েছে বাংলাদেশে। নাটকটি দীপ্ত টেলিভিশনের প্রোডাকশন।এটি রচনা করেছেন রূপান্তর। আগামী মে মাস থেকে নিউ ইয়র্ক থেকে বলছি নাটকের অনএয়ার হওয়ার কথা রয়েছে। এটি সপ্তাহে চার দিন প্রচারিত হবে। এতে অভিনয় করেছেন টনি ডায়েস, তারিন, রিচি সোলায়মান, রাইসুল ইসলাম আসাদ, হিল্লোল, নওশীন, নাফিজা, কল্যাণ কোরাইয়া, শহীদুজ্জামান সেলিম, ইন্তেখাব দিনার, ইশানা, আদর, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, জেনি, জাহিদ হোসেন শোভন ও উরফি।
নাটকের গল্প সম্পর্কে পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন বলেন, ‘বাংলাদেশে বসবাসরত একটি পরিবারের কিছু মানুষ যখন আমেরিকায় চলে যায়, তখন প্রবাসী জীবন যাপনের সঙ্গে বাংলাদেশের যে লিঙ্ক, হাসি, কান্না, দুঃখ সেসব ফুটে উঠেছে। যেমন নওশীনের মা থাকেন ওয়াহিদা মল্লিক জলি মারা যায়, সেই খবর পেয়ে, প্লেনে আসতে আসতে ইতোমধ্যে দাফন হয়ে যায়। তারপর বাবাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সে কোনোভাবেই সেখানে থাকতে পারে না। একটা পর্যায়ে সে চিন্তা করে, কেমন করে দেশে আসবে। ওখানকার খাবার-দাবার ও চলাফেরার সঙ্গে তিনি অ্যাডজাস্ট করতে পারছেন না। তখন তিনি মরিয়া হয়ে সবার কাছেই তিনি জানতে চায় যে দেশে কীভাবে ফিরে যাওয়া যায়। এক পর্যায়ে একজন বলে যে মারা গেলেই তো দেশে ফেরত পাঠাবে। সেই চিন্তা থেকে তিনি সুইসাইড করে। এই নিয়েই এগিয়ে যায় গল্প।
নাটক: কক্ষ নম্বর ৫২
২০১৬ এর প্রথম দিকে এই এ ধারাবাহিকের শুটিং শুরু হয়। এটি রচনা করেছেন লিটু শাখাওয়াত। এতে অভিনয় করেছেন ডাক্তার এজাজ, তানিয়া আহমেদ, ফারুক আহমেদ, নাবিলা, তারিক স্বপন, স্বাধীন খসরু ছাড়াও আরও অনেকে। এর শুটিং হয়েছে ঢাকাতেই। দু একমাসের মধ্যেই এর প্রচার শুরু হবে। চ্যানেল এখনো নির্দিষ্ট হয়নি।
পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন বলেন, ‘এর মূল গল্প হচ্ছে আমাদের ভাষা। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমরা যে বিভিন্ন ভাষা শুনতে পাই, এরকম সাত থেকে আটটি অঞ্চলের স্টুডেন্টরা আসে। একজন ভাষা সৈনিক শুদ্ধ বাংলা শেখানোর ইন্সটিটিউট করেন। সেখানে টিচার ম্যানেজার ও দারোয়ান থাকে। এ নাটকেও হাস্যরস রয়েছে। যে অভিনেতা অভিনেত্রী যে অঞ্চলের, আমি তাদের দিয়েই সেই ভাষাভাষীর চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলেছি।’
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:৪২ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ০০:৪৮
ঠিক তিন বছর প্রচারের পর আজ রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মাছরাঙা টিভিতে প্রচারের মধ্য দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে রহমতুল্লাহ্ তুহিনের পরিচালনায় নির্মিত দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ক্ষণিকালয়। ২০১১ সালের ২৫ অক্টোবর তুহিন অনেক স্বপ্ন নিয়ে এই নাটকের শুটিং শুরু করেন। ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টিভিতে নাটকটির প্রচার শুরু হয়। আজ ধারাবাহিক নাটকটির ৫২০তম পর্ব প্রচারের মধ্য দিয়ে পরিপূর্ণভাবে গল্পের ধারাবাহিকতা টেনেই নাটকটি শেষ হতে যাচ্ছে। আর এর মধ্য দিয়েই একটি দর্শকপ্রিয় নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। পরিচালক রহমতুল্লাহ্ তুহিন বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে মেধা দিয়ে সবার সহযোগিতায় একটি ভালো নাটক নির্মাণ করেছিলাম। দেশ-বিদেশের অনেক ভক্ত দর্শক, শিল্পী-কলাকুশলীর কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছি। নাটকটি শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাতে খারাপ লাগার চেয়ে ভালো লাগছে এই ভেবে যে, অন্য অনেক ধারাবাহিকের মতো হঠাৎ করেই নয়, বরং পরিপূর্ণভাবে নাটকটি শেষ করতে পারছি। ক্ষণিকালয় ছিল আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। আমাদের মিডিয়া ভুবনের কিংবদন্তি শিল্পীদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি আমি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’ রহমতুল্লাহ্ তুহিন ১৯৮৮ সাল থেকে থিয়েটার আরামবাগ-এর সাথে জড়িত। সেই সময়ই তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণও করতেন। আফরোজা বানুর সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে তার নির্মাণ ক্যারিয়ার শুরু হয়। প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুণ চৌধুরী, চয়নিকা চৌধুরী, তাহের শিপন, শহীদুজ্জামান সেলিমের সাথে বহু বছর। তার নির্দেশিত প্রথম নাটক (২০০২) আজাদ আবুল কালামের লেখা প্রবাসীর ভালোবাসা। তার নির্দেশিত প্রথম ধারাবাহিক নাটক নাইন মান্থ ইন ব্রিকল্যান্ড। থিয়েটার আরামবাগ-এর হয়ে তিনি বিভিন্ন মঞ্চনাটকে অভিনয়ও করেছেন।
‘ওই পরিবারের অনেক ধরনের রক্ষণশীলতা রয়েছে। তারা তাদের মেয়েদের বড় করার জন্য এবং একটি বাড়ি টিকিয়ে রাখার জন্য টেনশন করে। মেয়ের শিক্ষক হিসেবে কাকে রাখবে এবং সিকিউরিটি কতটুকু- গল্পের ভেতর দিয়ে এই মেসেজগুলো দেওয়া হয়েছে।
শিবলী আহমেদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:০৯ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৩২
নাট্য পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম
(প্রিয়.কম) দীর্ঘ গল্পের ধারাবাহিক নাটক ‘যখন কখনো’। নাটকটি এনটিভি-তে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে প্রচার শুরু হয়। প্রতি শনি ও রোববার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হয় নাটকটি। সোহান খানের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করছেন রহমতুল্লাহ তুহিন।
শীতকালীন শুটিংয়ের হালচাল পর্যবেক্ষণ করতে প্রিয়.কম ঢুঁ দিয়েছিল উত্তরার কিছু শুটিং বাড়িতে। সেখানকার ‘ক্ষণিকালয়’ নামের শুটিং বাড়িতে সাক্ষাৎ মেলে পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিনের। ধারাবাহিক নাটক ‘যখন কখনো’ প্রসঙ্গে প্রিয়.কম-এর আলাপচারিতা হয় এই পরিচালকের সঙ্গে।
নাট্য পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম
‘যখন কখনো’ নাটকটি নির্মিত হচ্ছে রিচি সোলায়মানের নীলাঞ্জনা প্রোডাকশন থেকে। এ গল্পে কোনো মেসেজ আছে কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরে নাটকটির পরিচালক তুহিন বলেন, ‘মূলত গল্পটি হচ্ছে দুটি পরিবার ও একটি অফিসের গল্প। এখানে একটি রহস্যজনক বিষয় রয়েছে। প্রভা একটি ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করছে, এক ধরনের ভৌতিক চরিত্র। এছাড়াও এক ধরনের হাস্যরস আছে এ নাটকের গল্পে। এর মধ্যে অনেক সিরিয়াসনেসও আছে। আমার মনে হয়, কেউ যদি পুরো সিরিয়ালটি নিয়মিত দেখেন, তাহলে দর্শক এটিকে শেষ পর্যন্ত দেখার আগ্রহ পাবেন। কেননা এ নাটকের গল্পের মধ্যে হাসি আছে, আনন্দ আছে, কান্না আছে- সব ধরনের উপাদানই আছে।’
‘সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি গল্পটি সুন্দর। আমি চেষ্টা করছি বানাতে। আর মেসেজের কথা যদি বলেন, তাহলে বলব- যেকোনো গল্পেরই একটি মেসেজ রয়েছে। এ নাটকেও মেসেজ রয়েছে এবং সেটি পজেটিভ। পরিবার কী, একজনের সঙ্গে আরেকজনের সম্পর্ক কতটুকু, পরিবারিক কিছু সিদ্ধান্ত, ছেলে-মেয়েদের ভুল-ত্রুটি, এ সব উঠে এসেছে নাটকটিতে। এটি এক ধরনের মেসেজ’, বলেন রহমতুল্লাহ তুহিন।
পরিচালকের ভাষ্য, ‘আবার আমরা দেখিয়েছি- একটি পরিবারে দুটি মেয়ে আছে, তারা ঢাকাইয়া পরিবার, একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবার। ওই পরিবারের অনেক ধরনের রক্ষণশীলতা রয়েছে। তারা তাদের মেয়েদের বড় করার জন্য এবং একটি বাড়ি টিকিয়ে রাখার জন্য টেনশন করে। মেয়ের শিক্ষক হিসেবে কাকে রাখবে এবং সিকিউরিটি কতটুকু- গল্পের ভেতর দিয়ে এই মেসেজগুলো দেওয়া হয়েছে।’
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:১০ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০৪:৪৮
নির্মাতার সঙ্গে একই ফ্রেমে চার তারকা। ছবি: আবু সুফিয়ান জুয়েল, প্রিয়.কম।
(প্রিয়.কম) ঘড়ির কাঁটায় ঠিক দুপুর ১২টা। উত্তরার শুটিং বাড়ি লাবনী-৪। ভেতরে যাবার সময়ই চোখে পড়ল চেয়ারে বসে আছেন অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার। এর মধ্যেই কালো কাপড় দিয়ে ঘেরা নিচতলার একটি রুম থেকে বের হয়ে আসলেন নির্মাতা রহমতুল্লাহ তুহিন। তার সঙ্গেও কথা হলো। এরই মধ্যে তার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম…বাইরে থেকে সব কিছু ঢেকে রাখা হয়েছে। বিষয়টা কি? উত্তরে নির্মাতা জানালেন, ‘অফিসের দৃশ্য চলছে ধারাবাহিক নাটকটির। নাম ‘যখন কখনো’, রচনা করেছেন সোহান খান। চলেন না রুমের ভেতরে যাই। যেতে যেতেই আবারও প্রশ্ন- তাহলে কি রাতের দৃৃশ্য ধারণ করা হচ্ছে? নিমার্তা জানালেন, ‘অনেকটা সে রকমই। অফিসের দৃশ্য তো, তাই বাইরের দিনের আলো কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। চলেন রুমের মধ্যে’। আমরাও প্রবেশ করলাম।রুমের মধ্যে গিয়ে বুঝতে পারলাম সত্যিই এখানে রাতের দৃশ্যের শুটিং করা হচ্ছে। এ তো দেখি আলো-ছায়ার খেলা। পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন বসে গেলেন মনিটরের সামনে। সেটে আসলেন অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ, লাক্স তারকা নিশা এবং অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার। এখন শুরু হবে দৃশ্য ধারণ। পরিচালক অভিনয় শিল্পীদের কিছুক্ষণ দৃশ্যটি বুঝিয়ে দিয়ে চিরাচরিত ভাষায় বললেন ‘অ্যাকশন’।
শুরু হয়ে গেল দৃশ্য ধারণ। অফিসের রিসিপশনে বসে আছেন নিশা। ওদিকে, ইন্তেখাব দিনার আর প্রসূন আজাদের মধ্যে কথা চলছে। দেখে মনে হচ্ছে দুজন দুজনের উপর ক্ষেপে আছেন। কথার এক পর্যায়ে রেগে গিয়ে প্রসূন তার ডেস্কে গিয়ে বসলেন। সে রাগ অব্যাহত রেখেই তিনি একটি ছবির অ্যালবাম উলট পালট করতে লাগলেন। অন্যদিকে, নিশা রিসিপশনে বসে একটু মুচকি হাসি দিচ্ছেন। মনে হলো তিনি বেশ মজাই পাচ্ছেন। নির্মাতা বললেন, ‘কাট! হইছে।’ এবার ক্লোজ দৃশ্য নেওয়া শুরু হলো। ওই একই দৃশ্য কতবার যে নিতে হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে দৃশ্য ধারণ করার পর নির্মাতা লাঞ্চ ব্রেক দিয়ে দিলেন।
নাটকের অন্যতম প্রধান চরিত্র প্রসূন প্রায় এক বছর পর অভিনয়ে ফিরলেন। তার সঙ্গে কথা হলো মেকআপ রুমে। অন্যদিকে নিশা তার আজকের দৃশ্য শেষ করে ফেলেছেন। তাই তিনি আর থাকছেন না। চলে যাবেন বাসায়। ইতোমধ্যে বিদায় নিয়ে চলেও গেলেন তিনি। নিমার্তা আমাদের উপরে ডাকলেন দুপুরে খাওয়ার জন্য। আমরাও তার সঙ্গী হলাম। নির্মাতার কাছে জানতে চাইলাম নাটকের গল্পটা কেমন? তিনি বললেন, গল্পটা হচ্ছে দুটা পরিবারকে কেন্দ্র করে। বলতে গেলে একটি পারিবারিক গল্প। এখানে প্রেম আছে, সংসার আছে, অফিস আছে। মানে আমাদের জীবনের প্রতিদিনের ঘটনাটাগুলোই এই গল্পে তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম লটের দৃশ্য শেষ। এখন চলছে দ্বিতীয় লটের দৃশ্যধারণ। মোট কথা সব জেনারেশন নিয়েই ধারাবাহিক নাটকটি এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই এনটিভিতে নাটকটি প্রচার শুরু হয়েছে। প্রতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে নাটকটি প্রচারিত হচ্ছে।
এ নাটকে আরও অভিনয় করছেন- ফেরদৌসি মজুমদার, আজাদ আবুল কালাম, আবুল হায়াত, দিলারা জামান, আফরোজা বানু, জাকিয়া বারি মম, রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, মারজুক রাসেল, মনজ, সামিহাসহ আরও অনেকেই।
এসব তথ্য দিয়ে নির্মাতা আবারও তার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আর আমাদের এবার বিদায় নেওয়ার পালা। সবার সঙ্গে বিদায় নেওয়া শেষ হলেও খুঁজে পাচ্ছিলাম না আমাদের অভিনেতা আজাদ আবুল কালামকে। পরিশেষে তাকে খুঁজে পেলাম মেকআপ রুমে। তিনি ভাত ঘুমে আছেন। তার ঘুম না ভাঙিয়েই হেমন্তের মৃদু মৃদু বাতাস গায়ে মাখতে মাখতে পড়ন্ত বিকেলে বের হলাম শুটিং বাড়ি লাবনী-৪ থেকে।
“খুব চিন্তিত গলায় সীমিন বলল, ‘খালামনি তোমার শরীর কি খুব খারাপ করেছে?’
খালামনি উত্তর দিল, ‘হ্যাঁ, প্রেশারটা মনে হয় বেড়ে গেছে। রাতিনের সাথে কোনো যোগাযোগ হয়েছে?’
সীমিন বলল, ‘না, আমি একবার ওকে ফোন দিয়েছি। ও ফোন ধরেনি।’
সোহান খানের রচনায়, রহমতুল্লাহ্ তুহিন পরিচালিত ‘যখন কখনো’ ধারাবাহিক নাটকের দৃশ্যের সংলাপ এভাবেই ক্যামেরার সামনে বলে যাচ্ছিলেন মৌসুমি হামিদ ও বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার। নাটকে সীমিন চরিত্রে অভিনয় করছেন মৌসুমি হামিদ।
ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, ‘আমি খুব বেছে বেছে কাজ করি। তুহিনের সঙ্গে এর আগেও কাজ করেছি। এই কাজটি করেও অনেক ভালো লাগছে।’
ফেরদৌসী মজুমদারের সঙ্গে নাটকে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে মৌসুমি হামিদ বলেন, “ফেরদৌসী আন্টির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। তুহিন ভাই যখন বলেছেন ফেরদৌসী মজুমদার কাজ করবেন- প্রথমে তো বিশ্বাস করতে পারিনি। সেটে তিনি নিজের মেয়ের মতো আদর করছেন আমাকে। নাটকের গল্পে ফেরদৌসী আন্টি আমার মায়ের বান্ধবী চরিত্রে অভিনয় করছেন। আমার মা মারা যাওয়ার পর আমি ফেরদৌসী আন্টির বাসায় থাকি। খুব চমৎকার একটা গল্প। সিরিয়াল নাটকে খুব কম অভিনয় করছি আমি। ‘সাতটি তারার তিমির’ সবাই যেভাবে গ্রহণ করেছে, আশা করছি এই নাটকটিও প্রচার শুরু হলে সবার অনেক ভালো লাগবে।”
‘যখন কখনো’ নাটকে অনেক প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীরা কাজ করছেন। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পরিচালক রহমতুল্লাহ্ তুহিন বলেন, “আমি ‘ক্ষণিকালয়’ নাটক ৫২০ পর্ব পযর্ন্ত করেছিলাম। সাড়ে তিন বছর আমি নাটকটির শুটিং করেছি। সেখানে ফেরদৌসী আন্টি একটানা কাজ করেছিলেন। তাঁর সম্পর্কে বলার কিছু নেই। তিনি অসাধারণ। আমি অনেক ভাগ্যবান পরিচালক, কারণ তাঁর সঙ্গে বহুদিন ধরে কাজ করছি। ‘ক্ষণিকালয়’ নাটকে আমি পাঁচ প্রজন্মকে দেখিয়েছি। এই নাটকেও তেমনি আমি তিন প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে কাজ করছি। নাটকে ইন্তেখাব দিনার, রওনক হাসান, মমও কাজ করছেন। মৌসুমিকে সীমিনের চরিত্রে নেব- এটা প্রথমে ভাবিনি। সীমিন অনেক চটপটে আর মৌসুমিও বাস্তবে অনেক চটপটে। সবমিলিয়ে এই চরিত্রের জন্য ও মানানসই।”
নাটকের গল্প কীভাবে নির্বাচন করেন জিজ্ঞেস করতেই তুহিন বলেন, ‘আমি সবসময় নাটকের গল্প ও সংলাপ দেখি। সাহিত্যনির্ভর সবকিছু খুঁজি। কারণ গেলাম, খাইলাম, আসলাম, এ ধরনের সংলাপ আমার পছন্দ না।’
অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান ‘যখন কখনো’ ধারাবাহিক নাটকটি প্রযোজনা করছেন বলে জানান পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন।
চতুর্থ সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবে ২টি পুরস্কার অর্জনের পর ১৪তম আর্ন্তজাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১ এ প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে রহমতুল্লাহ্ তুহিন এর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আলোক বর্ষ দুরে’ । শনিবার বিকালে শাহবাগের কেন্দ্রীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার চত্বরে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজিত ১৪তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ ২০২১ এর উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এবারের আর্ন্তজাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে ৩৭টি দেশের ১৭৯টি চলচ্চিত্র অংশগ্রহন করছে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩টি ভেন্যুতে চলবে এ উৎসব। ২রা ফেব্রুয়ারী শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে রহমতুল্লাহ্ তুহিন ‘আলোক বর্ষ দুরে’ স্বল্পদৈর্ঘ্যটি।
একজন মা এবং প্রবাসে পড়ুয়া সন্তানের গল্প নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি। এ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য ৪র্থ সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব ২০২০ সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কার অর্জন করেন এ অভিনেত্রী। ওয়াহিদা মল্লিক জলি বলেন, ‘রহমতুল্লাহ্ তুহিন একজন অত্যন্ত গুনী নির্মাতা। তার পরিচালনায় অভিনয় করতে আমি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। এই পুরস্কারের সেও একজন ভাগিদার।’
‘আলোক বর্ষ দুরে’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮তম ঢাকা আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবং এই চলচ্চিত্রটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯ এ অংশগ্রহন করে। নির্মাতা রহমতুল্লাহ্ তুহিন ১৩তম আর্ন্তজাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দি ব্যান্ড নিউ ফ্রেন্ডশিপ’ নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রটি পিস ফিল্ম ফ্যাস্টিভাল ২০১৯ এ ষ্ট্যান্ডার্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে এবং রাশিয়ার ‘জিরো প্লাস’ আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।
রহমতুল্লাহ্ তুহিন ২ যুগের অধিক সময় ধরে দেশীয় চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন মিডিয়ায় প্রশংসার সাথে অনেক জনপ্রিয় নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টারি নির্মাণ করে আসছেন। এই নির্মাতার ৫২০ পর্বের দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক ‘ক্ষনিকালয়’ মাছরাঙ্গা টেলিভিশন এর একটি অন্যতম প্রশংসিত নাটক। মাছরাঙ্গা টেলিভিশন এর প্রোগ্রাম ইনচার্জ জনাব আরিফ রহমান বলেন, ‘রহমতুল্লাহ্ তুহিন অত্যন্ত জনপ্রিয় নির্মাতা, তার নির্মিত নাটক ক্ষনিকালয় একটি ব্যবসা সফল এবং দর্শক নন্দিত নাটক। প্রায় ৪ বছর ব্যাপি প্রচারিত এই নাটক অনেকবার টি আর পি র শীর্ষে অবস্থান করে নিয়েছে।’
পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন, প্রযোজকদের কাছেও সমান জনপ্রিয়। প্রযোজক খোরশেদ আলম বলেন, রহমতুল্লাহ্ তুহিন সবসময়ই প্রযোজকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই কাজ করেন। তার পরিচালিত বেশিরভাগ প্রযোজনাই ব্যবসা সফল হয় যে কারনে প্রযোজকরা সবসময়ই তাকে দিয়ে নির্মান করাতে আগ্রহী।’