এখনও মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় করছি
*হঠাৎ করেই কি শেষ হয়ে যাচ্ছে ‘ক্ষণিকালয়’?
**হঠাৎ করেই শেষ হচ্ছে না। পরিপূর্ণভাবে গল্পের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ‘ক্ষণিকালয়’ শেষ করতে পারছি, এটাই আমার আত্মতৃপ্তি। আমি কৃতজ্ঞ ‘ক্ষণিকালয়’ পরিবারের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের কাছে। কারণ সবার সহযোগিতা ছাড়া নাটকটি নিয়ে টানা তিন বছর কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না।
*কীভাবে নাটক নির্দেশনায় এলেন?
**১৯৮৮ সাল থেকে আমি থিয়েটার আরামবাগের সঙ্গে জড়িত। সেই থেকে এখনও আমি মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় করি। বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসেবে আমার ক্যারিয়ার শুরু। তবে আফরোজা বানু পরিচালিত ‘শেষের কবিতা নয়’ নাটকের মধ্য দিয়ে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করি। এরপর যেমন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুজ্জামান সেলিম, অরুণ চৌধুরী, চয়নিকা চৌধুরী, তাহের শিপনের সঙ্গে কাজ করি।
*এককভাবে কবে থেকে নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন?
**২০০২ সালে আজাদ আবুল কালামের লেখা ‘প্রবাসীর ভালোবাসা’ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিচালক হিসেবে আমার যাত্রা শুরু। আমার প্রথম ধারাবাহিক ছিল ‘নাইন মান্থ ইন ব্রিকল্যান্ড’। একক নাটকের মধ্যে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে ‘আজি বীজনঘরে’, ‘নাগরিক বুনোফুল’, ‘বদলে যাওয়ার গল্প’, ‘বাঘবন্দি’, ‘দ্বৈতরূপ’ ইত্যাদি। মুক্তিযুদ্ধের নাটক ‘অহল্লা’ নির্মাণের জন্য ২০১২ সালে ‘আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছি।
*বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
**কিছুদিন আগে দেশের বাইরে থেকে পান্থ শাহরিয়ারের লেখা ‘গন্তব্য নিরুদ্দেশ’ ধারাবাহিক নাটকের কাজ শেষ করে এসেছি। শিগগিরই এটির প্রচার শুরু হবে। এ ছাড়া আগামী মাসেই আরও নতুন একটি ধারাবাহিক নাটকের কাজ শুরু করব।
আনন্দনগর প্রতিবেদক | প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
News Published on : jugantor.com