রহমতুল্লাহ তুহিনের ‘যখন কখনো’র সেটে কিছুক্ষণ
‘ওই পরিবারের অনেক ধরনের রক্ষণশীলতা রয়েছে। তারা তাদের মেয়েদের বড় করার জন্য এবং একটি বাড়ি টিকিয়ে রাখার জন্য টেনশন করে। মেয়ের শিক্ষক হিসেবে কাকে রাখবে এবং সিকিউরিটি কতটুকু- গল্পের ভেতর দিয়ে এই মেসেজগুলো দেওয়া হয়েছে।
সহ-সম্পাদক

নাট্য পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম
শীতকালীন শুটিংয়ের হালচাল পর্যবেক্ষণ করতে প্রিয়.কম ঢুঁ দিয়েছিল উত্তরার কিছু শুটিং বাড়িতে। সেখানকার ‘ক্ষণিকালয়’ নামের শুটিং বাড়িতে সাক্ষাৎ মেলে পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিনের। ধারাবাহিক নাটক ‘যখন কখনো’ প্রসঙ্গে প্রিয়.কম-এর আলাপচারিতা হয় এই পরিচালকের সঙ্গে।
নাটকটি পরিচালনা করে নিজের সন্তুষ্টি প্রসঙ্গে রহমতুল্লাহ তুহিন প্রিয়.কম-কে বলেন, ‘আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এখানে ফেরদৌসি মজুমদার অভিনয় করছেন। তিনি আমাদের দেশের একজন কিংবদন্তী অভিনয় শিল্পী। আমি অনেক ভাগ্যবান যে তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন। আমি আরও ভাগ্যবান যে অভিনেতা আবুল হায়াত এবং দিলারা জামান আছেন আমাদের সঙ্গে। এছাড়াও আছেন আফরোজা বানু, মারজুক রাসেল, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, রিচি সোলায়মান, রওনক হাসান, মম, প্রভা, মৌসুমী হামিদ, প্রসূন আজাদ, সামিয়া, মনজ ও কল্যাণ কোরাইয়া। বিভিন্ন জেনারেশনের শিল্পীরা একসঙ্গে কাজ করছেন এ নাটকে। এটা সবচেয়ে বড় ব্যাপার।’
নাট্য পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম
‘যখন কখনো’ নাটকটি নির্মিত হচ্ছে রিচি সোলায়মানের নীলাঞ্জনা প্রোডাকশন থেকে। এ গল্পে কোনো মেসেজ আছে কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরে নাটকটির পরিচালক তুহিন বলেন, ‘মূলত গল্পটি হচ্ছে দুটি পরিবার ও একটি অফিসের গল্প। এখানে একটি রহস্যজনক বিষয় রয়েছে। প্রভা একটি ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করছে, এক ধরনের ভৌতিক চরিত্র। এছাড়াও এক ধরনের হাস্যরস আছে এ নাটকের গল্পে। এর মধ্যে অনেক সিরিয়াসনেসও আছে। আমার মনে হয়, কেউ যদি পুরো সিরিয়ালটি নিয়মিত দেখেন, তাহলে দর্শক এটিকে শেষ পর্যন্ত দেখার আগ্রহ পাবেন। কেননা এ নাটকের গল্পের মধ্যে হাসি আছে, আনন্দ আছে, কান্না আছে- সব ধরনের উপাদানই আছে।’
‘সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি গল্পটি সুন্দর। আমি চেষ্টা করছি বানাতে। আর মেসেজের কথা যদি বলেন, তাহলে বলব- যেকোনো গল্পেরই একটি মেসেজ রয়েছে। এ নাটকেও মেসেজ রয়েছে এবং সেটি পজেটিভ। পরিবার কী, একজনের সঙ্গে আরেকজনের সম্পর্ক কতটুকু, পরিবারিক কিছু সিদ্ধান্ত, ছেলে-মেয়েদের ভুল-ত্রুটি, এ সব উঠে এসেছে নাটকটিতে। এটি এক ধরনের মেসেজ’, বলেন রহমতুল্লাহ তুহিন।
পরিচালকের ভাষ্য, ‘আবার আমরা দেখিয়েছি- একটি পরিবারে দুটি মেয়ে আছে, তারা ঢাকাইয়া পরিবার, একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবার। ওই পরিবারের অনেক ধরনের রক্ষণশীলতা রয়েছে। তারা তাদের মেয়েদের বড় করার জন্য এবং একটি বাড়ি টিকিয়ে রাখার জন্য টেনশন করে। মেয়ের শিক্ষক হিসেবে কাকে রাখবে এবং সিকিউরিটি কতটুকু- গল্পের ভেতর দিয়ে এই মেসেজগুলো দেওয়া হয়েছে।’
news source: priyo.com