Rahmatullah Tuhin

দিনের আলোয় রাতের শুটিং…

দিনের আলোয় রাতের শুটিং…
কুদরত উল্লাহ
সহ-সম্পাদক, বিনোদন
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:১০ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০৪:৪৮


নির্মাতার সঙ্গে একই ফ্রেমে চার তারকা। ছবি: আবু সুফিয়ান জুয়েল, প্রিয়.কম।
(প্রিয়.কম) ঘড়ির কাঁটায় ঠিক দুপুর ১২টা। উত্তরার শুটিং বাড়ি লাবনী-৪। ভেতরে যাবার সময়ই চোখে পড়ল চেয়ারে বসে আছেন অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার। এর মধ্যেই কালো কাপড় দিয়ে ঘেরা নিচতলার একটি রুম থেকে বের হয়ে আসলেন নির্মাতা রহমতুল্লাহ তুহিন। তার সঙ্গেও কথা হলো। এরই মধ্যে তার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম…বাইরে থেকে সব কিছু ঢেকে রাখা হয়েছে। বিষয়টা কি? উত্তরে নির্মাতা জানালেন, ‘অফিসের দৃশ্য চলছে ধারাবাহিক নাটকটির। নাম ‘যখন কখনো’, রচনা করেছেন সোহান খান। চলেন না রুমের ভেতরে যাই। যেতে যেতেই আবারও প্রশ্ন- তাহলে কি রাতের দৃৃশ্য ধারণ করা হচ্ছে? নিমার্তা জানালেন, ‘অনেকটা সে রকমই। অফিসের দৃশ্য তো, তাই বাইরের দিনের আলো কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। চলেন রুমের মধ্যে’। আমরাও প্রবেশ করলাম।রুমের মধ্যে গিয়ে বুঝতে পারলাম সত্যিই এখানে রাতের দৃশ্যের শুটিং করা হচ্ছে। এ তো দেখি আলো-ছায়ার খেলা। পরিচালক রহমতুল্লাহ তুহিন বসে গেলেন মনিটরের সামনে। সেটে আসলেন অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ, লাক্স তারকা নিশা এবং অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার। এখন শুরু হবে দৃশ্য ধারণ। পরিচালক অভিনয় শিল্পীদের কিছুক্ষণ দৃশ্যটি বুঝিয়ে দিয়ে চিরাচরিত ভাষায় বললেন ‘অ্যাকশন’।

শুরু হয়ে গেল দৃশ্য ধারণ। অফিসের রিসিপশনে বসে আছেন নিশা। ওদিকে, ইন্তেখাব দিনার আর প্রসূন আজাদের মধ্যে কথা চলছে। দেখে মনে হচ্ছে দুজন দুজনের উপর ক্ষেপে আছেন। কথার এক পর্যায়ে রেগে গিয়ে প্রসূন তার ডেস্কে গিয়ে বসলেন। সে রাগ অব্যাহত রেখেই তিনি একটি ছবির অ্যালবাম উলট পালট করতে লাগলেন। অন্যদিকে, নিশা রিসিপশনে বসে একটু মুচকি হাসি দিচ্ছেন। মনে হলো তিনি বেশ মজাই পাচ্ছেন। নির্মাতা বললেন, ‘কাট! হইছে।’ এবার ক্লোজ দৃশ্য নেওয়া শুরু হলো। ওই একই দৃশ্য কতবার যে নিতে হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে দৃশ্য ধারণ করার পর নির্মাতা লাঞ্চ ব্রেক দিয়ে দিলেন।

নাটকের অন্যতম প্রধান চরিত্র প্রসূন প্রায় এক বছর পর অভিনয়ে ফিরলেন। তার সঙ্গে কথা হলো মেকআপ রুমে। অন্যদিকে নিশা তার আজকের দৃশ্য শেষ করে ফেলেছেন। তাই তিনি আর থাকছেন না। চলে যাবেন বাসায়। ইতোমধ্যে বিদায় নিয়ে চলেও গেলেন তিনি। নিমার্তা আমাদের উপরে ডাকলেন দুপুরে খাওয়ার জন্য। আমরাও তার সঙ্গী হলাম। নির্মাতার কাছে জানতে চাইলাম নাটকের গল্পটা কেমন? তিনি বললেন, গল্পটা হচ্ছে দুটা পরিবারকে কেন্দ্র করে। বলতে গেলে একটি পারিবারিক গল্প। এখানে প্রেম আছে, সংসার আছে, অফিস আছে। মানে আমাদের জীবনের প্রতিদিনের ঘটনাটাগুলোই এই গল্পে তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম লটের দৃশ্য শেষ। এখন চলছে দ্বিতীয় লটের দৃশ্যধারণ। মোট কথা সব জেনারেশন নিয়েই ধারাবাহিক নাটকটি এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই এনটিভিতে নাটকটি প্রচার শুরু হয়েছে। প্রতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে নাটকটি প্রচারিত হচ্ছে।

এ নাটকে আরও অভিনয় করছেন- ফেরদৌসি মজুমদার, আজাদ আবুল কালাম, আবুল হায়াত, দিলারা জামান, আফরোজা বানু, জাকিয়া বারি মম, রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, মারজুক রাসেল, মনজ, সামিহাসহ আরও অনেকেই।

এসব তথ্য দিয়ে নির্মাতা আবারও তার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আর আমাদের এবার বিদায় নেওয়ার পালা। সবার সঙ্গে বিদায় নেওয়া শেষ হলেও খুঁজে পাচ্ছিলাম না আমাদের অভিনেতা আজাদ আবুল কালামকে। পরিশেষে তাকে খুঁজে পেলাম মেকআপ রুমে। তিনি ভাত ঘুমে আছেন। তার ঘুম না ভাঙিয়েই হেমন্তের মৃদু মৃদু বাতাস গায়ে মাখতে মাখতে পড়ন্ত বিকেলে বের হলাম শুটিং বাড়ি লাবনী-৪ থেকে।

news source: pryo.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *